অন্ধকার এ পৃথিবীতে সেদিন বাজছিল সাম্যের সুর নিয়ে লড়াই করে চলা–
একটি ভবিতব্য সার্বভৌম দেশের বিজয়ডঙ্কা।
বিচ্ছুরিত হচ্ছিল এক চিলতে আলো–
একটি ক্ষুদ্র বিন্দু থেকে।
ক্রমশ যা বড় হয়ে উঠছিল আর কাঁপিয়ে দিচ্ছিল–
প্রকান্ড সব ক্ষমতাশীল রাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী ও ধর্ম অপব্যাবহারকারী নেতাদের।
বাংলাদেশের বিজয় একাত্তর যেনো সেদিন দেখিয়েছিল বিশ্বকে এক রক্তিম সূর্য্য,
ধ্বংসস্তুপের মাঝ থেকেও যেনো ঘোষিত হচ্ছিল শুদ্ধ- পবিত্র- স্বাধীন জীবনের।
সবুজঘেরা এই ভূমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা,
নিযুত- নিযুত শহীদ ও নির্যাতিত অগণিত মানুষের প্রতি,
আমরা আজ কৃতজ্ঞ–
অন্তরের গহীন থেকে আমরা আজ সেই স্বার্থহীন ত্যাগকে অনুভব করি।
অবশ্যই আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখিয়ে যাওয়া–
স্বপ্নের সারথী হয়ে সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছাবই।
সেদিন আরও একবার, এই বিশ্ব বাকরুদ্ধ হয়ে যাবে।
বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে যায়, তাই না?
বিশ্বাস করুন– একাত্তরের বিজয়ই আমাদের জানান দিয়েছে– বিশ্বাসেই ‘জয়’!
এ পথ হয়তো অনেক দীর্ঘ আর সংকটময়,
তবে তা আমাদের দাবিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।
আমরা দুর্বার এবং শত প্রতিকূলতার মাঝেও মাথা সোজা রেখে–
সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আক্ষরিকভাবেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,
বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।