ভারতে গত এপ্রিল মাসে মাত্র ১ হাজার ৩৬ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় দেশটিতে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৬০ দশমিক ২৮ শতাংশ কম এবং ২৫ বছরের মধ্যে রপ্তানি এতটা কমেনি। ওষুধ ও আয়রন ওয়্যার ছাড়া জেমস বা মূল্যবান রত্ন ও জুয়েলারি, বস্ত্র ও পোশাক, কার্পেট, চামড়া, প্রকৌশল ও পেট্রলিয়াম পণ্য সবকিছুরই রপ্তানি কমেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড–১৯ বা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় পণ্য রপ্তানি কমেছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ যেমন কমেছে তেমনি ক্রেতাদের দেওয়া প্রচুর ক্রয়াদেশও বাতিল হয়েছে। এসবের প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতে।
এদিকে এপ্রিলে ভারতের পণ্য আমদানিও কমেছে। তা ১ হাজার ৭১২ কোটি ডলারে নেমে গেছে, যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৫৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম। ইলেকট্রনিক পণ্য, পেট্রলিয়াম, যন্ত্রপাতি, কয়লা ও কেমিক্যাল পণ্যে আমদানি কমেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্য আমদানি–রপ্তানির এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। এপ্রিলে আমদানি–রপ্তানি মিলিয়ে সার্বিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ কমে ৬৭৬ কোটি ডলারে নেমেছে। এই পরিমাণ গত বছরের একই মাসে ছিল ১ হাজার ৫৩৩ কোটি ডলার।
মার্চ মাসে পণ্য রপ্তানি গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে ২ হাজার ১৪১ কোটি ডলারে নেমেছিল।
বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকেরা তাঁদের সহায়তায় সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত পদক্ষেপ চেয়েছেন।
পণ্য রপ্তানি কমায় রপ্তানিমুখী শ্রমঘন শিল্পগুলোয় কর্মসংস্থান কমেছে। বিগত আড়াই দশকে কর্মসংস্থান এতটা কমেনি। এই তথ্য জানান ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি শারদ কুমার সরাফ।