২০১৭-১৮ তে যখন আমি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এ কর্মরত, তখন থেকেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি ডিভিশনের বিভিন্ন সভায় বরাবরের মতো বলে আসছিলাম, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য একটি স্টার্ট-আপ ফান্ড গঠন করা হোক নতুন ইনোভেটিভ আইডিয়াগুলোকে ফাইনান্স করবার জন্যে। এ নিয়ে সেই থেকেই বিভিন্ন সভায় স্বাভাবিকভাবেই অনেক কাউন্টার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ২০১৮ এর জুলাই ১ তারিখে কর্মস্থল পরিবর্তন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এ আসবার পর মনে হয়েছে, বিষয়টা আসলে শুধু একটি সেক্টরে সীমাবদ্ধ না থেকে আরও বড় পরিধিতে বাংলাদশের নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য হওয়া প্রয়োজন, কারণ– এদেশের বেশিরভাগ নতুন উদ্যোগই মূলত কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি অবস্থা থেকে চলা শুরু করে।
আমার সহকর্মী Mohammad Musleh Uddin এরও একই উপলব্ধি থাকায় আমরা গত সেপ্টেম্বর/অক্টোবর মাসের দিকেই কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বিভিন্ন লেখায় এটি নিয়ে আসি। তার মাঝে গত বছরের অক্টোবর মাসে The Business Standard এ এবং এই বছরের জানুয়ারি মাসেই Textile Today তে প্রকাশিত আমাদের লেখাগুলোতে আমরা সুপারিশ আকারে নিয়ে আসি যে ৮ হাজার কোটি টাকার ০-৫% সুদে দীর্ঘমেয়াদের একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল বাংলাদেশ সরকারের গঠন করা দরকার।
দেখে আসলেই ভাল লাগছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার ৪% সুদের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই যার প্রস্তবনা আজকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপিত হবার কথা। আশা রাখি, এই ‘স্টার্টআপ ফান্ড গঠন ও নীতিমালা’ আজকে অনুমোদিত হয়ে যাবে এবং কয়েক বছরের মাঝে এই ফান্ডের আকার আবারও রিভাইজ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আকার ও প্রবৃদ্ধির কথা চিন্তা করে ৮ হাজার কোটি টাকা করা হবে।
যখন এই তাৎক্ষণিক সুখকর প্রতিক্রিয়া লিখছি, ঠিক তখনই জানতে পারলাম বাংলাদেশ ব্যাংকের আজকের উপরোক্ত সভায় তা অনুমোদিত হয়েছে, সত্যিই নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য খুব ছোট করে হলেও বাংলাদেশে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু হলো!